আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামীম হেনস্থা মামলায় তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ সহ সাতজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন, কলকাতা হাইকোর্ট।
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামীমের চেম্বারের বাইরে কুনাল ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে তারা। শুধু তাই নয়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ছবি মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে তারা।
আদালত অবমাননার অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন আইনজীবী।
এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘আদালত ও বিচারপতির বিরুদ্ধে এমন কোন আচরণ করা যায় না । রায় পছন্দ না হলে, উচ্চতর আদালতে আবেদন করুন । এভাবে বিক্ষোভ দেখাবেন কেন ? স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এটা করা যায় না । অভিযুক্তদের সকলকে চিহ্নিত করুন।’
কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকে, তারপর কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো, তা নিয়েও পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলে আদালত।
সোমবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ জানায়, ‘সব অভিযুক্ত-র বিরুদ্ধে রুল জারি করা হলো । আদালত অবমাননার নোটিশ পেলে ১৫ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে হয় । কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতে কোন হাজিরা দেননি। সেজন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুল জারি করতে বাধ্য হল আদালত।’
এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি এ সময়ে কিছু বলতে চাইলে, আদালত তাকে সময় দেননি।