Oplus_131072

গরমে ফল খান। বিশেষ করে মরশুমি ফল। চিকিৎসকরাই এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে নিয়মিত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, গরমে জলের অভাব মেটাতে ফল খান বেশি করে।

 

কারণ ফলেই রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সহ বহুগুণ। ফলই পারে গরমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। তবে, আবারও বলি, গরমকালে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করা প্রয়োজন।

মনে রাখতে হবে, গরমে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত এই সময়ে বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার এবং বেশি জল পান করা।

 

কোনও ভয় নেই। ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারেন। তবে আম খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। আমের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে পরিমিত আম খেলে রক্তে শর্করা কমতেও পারে।

 

গরমকালে ডায়বেটিস রোগীরা চেরি খান। চেরিতে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। এ ফল রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। চেরিতে আছে ভিটামিন ও ফাইবার উপাদান। চেরি হৃদরোগের পক্ষেও ভালো।

 

গরম কালে ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খেতে পারেন। কলা ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। আপেলও খেতে পারেন প্রতিদিন। আপেলেও গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। আপেলে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে আপেল। কমলাতেও গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। এছাড়া কমলা ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে।

আঙুরও খাওয়া যেতে পারে গরমে। তবে কালো আঙুর বেশি উপকারী। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তবে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফল খাওয়া প্রয়োজন। গরমকালে বাড়তি সতর্কতাও জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here