উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে মোদি মমতাকে একযোগে আক্রমণ করলেন, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

 

বৃহস্পতিবার কোচবিহার সিপিএম জেলা দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ার সফর নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘উনি গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল তা নেননি কেন ? উত্তরবঙ্গের চা বিক্রি করে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আসে । অথচ রুগ্ন, বন্ধ চা বাগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে কোন আশ্বাস নেই। চা বাগানে বিনিয়োগ নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। সব দেখেও দেশের প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন।’

 

যখনই ভোট আসে তখনই বলা হয় উত্তরবঙ্গে নতুন বিমানবন্দর হবে। বিমান ও ট্রেন চলাচল পরিষেবা উন্নত করা হবে । পর্যটন শিল্প উন্নত করা হবে । বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কারখানা গড়ে তোলা হবে। এসব বলে ভোটের প্রচার করেন। অথচ উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলো ধুঁকছে । বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । কাজ হারিয়ে শ্রমিকরা পরিযায়ী শ্রমিকের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের জমি কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন, সেসব নিয়ে কোন কথা নেই। কেবল সেনার কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করে, আলিপুর দুয়ারের জনসভায় ভোটের রাজনীতি করে গেলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

 

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন ? উনি ভোটের কথা বেশি বলেন, দেশের কথা কমই বলেন । সেজন্য, যে অভিযানের কৃতিত্ব ভারতীয় সেনার, তা নিজের কৃতিত্ব বলে জাহির করে গেলেন মোদি। বিজেপি এভাবে দেশের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে । কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র দৃঢ় করলেন না । মনিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কোন পদক্ষেপ করলেন না। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কোন জবাবদিহি না করে, সেনার কৃতিত্ব নিজের বলে ভোটের প্রচারে রাজনীতির ঢাক পিটিয়ে গেলেন।’

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here