পেশাগত শত্রুতার বশে সহকর্মীর ছেলের বিয়েতে বোমা উপহার পাঠিয়েছিলেন। বোমা বিস্ফোরণে বর ও তার ঠাকুমার মৃত্যু হয়। আহত হন নববধূ ও আরও অনেকে। সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা পেলেন, ওড়িশার ভৈনসার জ্যোতি বিকাশ কলেজের লেকচারার পুঞ্জিলাল মেহের।
২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ওড়িশার বোলাঙ্গি জেলার পাটনাগড়ে সহকর্মী, অধ্যক্ষ সংযুক্তার সাহুর ছেলে সৌম্যশেখর সাহুর বিয়েতে উপহারস্বরূপ বোমা পাঠিয়েছিলেন ওই কলেজের লেকচারার পুঞ্জিলাল মেহের। কলেজের অধ্যক্ষ পদে পুঞ্জিলালই ছিলেন। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পদে তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সৌম্য শেখরের মা সংযুক্তা সাহুকে বসানো হয়েছিল। ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে দেখা যায়, সেই আক্রোশে তাঁর ছেলে সৌম্যকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন পুঞ্জিলাল।
বিয়ের ৫ দিন পর নববধূ রীমার অনুরোধে স্বামী সৌম্যশেখর সেই উপহার খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সৌম্যশেখর ও তার ৮৫ বছরের ঠাকুমা নিহত হন। পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং নববধূ রীমা গুরুতর আহত হন।
ওড়িশার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের নির্দেশ দিলে এপ্রিল মাসে পুঞ্জিলাল মেহেরকে গ্রেফতার করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুঞ্জিলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নেমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুঞ্জিলালকে ওয়েডিং বোম্ব মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।
সরকারি কৌশলী চিত্তরঞ্জন কানুনগো জানিয়েছেন, ‘পাটনাগড়ের অতিরিক্ত জেলা জজ, বিরলের মধ্যে বিরলতম এই মামলায় ভারতীয় বিস্ফোরক আইনের তিন ও চার ধারায়- পুঞ্জিলাল মেহেরকে দোষী সাব্যস্ত করে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। তিনটি অভিযোগের দুটি দশ বছরের এবং একটি সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে, সঙ্গে মোট এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।’
