উত্তরাখণ্ডের শোনপ্রয়াগ থেকে ১৯ কিলোমিটার ট্রেকিং করে কেদারনাথ ধাম যাত্রা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখন্ড প্রশাসন। গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার পথে রোববার জঙ্গলচট্টির কাছে ভূমিধসের ফলে এক পুর্ণাথীর মৃত্যু হলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রবল বর্ষণে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। নিচু এলাকায় জল জমেছে। নদীর প্রবল স্রোতে কেদারনাথ যাত্রা পথে প্রচুর পাথর জমা হয়ে- রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গলচট্টির কাছে আটকে পড়া পুণার্থীদের পুলিশ প্রশাসন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
রোববার উত্তরাখণ্ডের রুদ্র প্রয়াগ জেলা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাস্তায় পাথর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এজন্য শোন প্রয়াগ থেকে কেদারনাথ তীর্থযাত্রা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। জেলা পুলিশ আগত পুর্ণাথীদের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।’
গতকাল রোববার , রুদ্র প্রয়াগ জেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি দু’দিন হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সকালে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে । নিহতদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’ হেলিকপ্টার পরিষেবার ক্ষেত্রে নিয়ম বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে এদিন ধামি বলেন, ‘ বিমান চালানোর জন্য পাইলটদের এই অঞ্চলের বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার । বিমান পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলোকে এটা নিশ্চিত করতে হবে।’
রুদ্র প্রয়াগ জেলায় বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করেছে, ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। ধস প্রবণ এলাকার ট্রেকিং রুট আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।