চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা তাঁদের ন্যায্য চাকরি ফেরতের দাবিতে, বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে, বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে রাজ্য সরকার নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা যোগ্য, নতুন করে তাঁরা আর পরীক্ষায় বসতে রাজি নয় । এদিন তাঁরা ওএমআরশিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি তোলেন।
৩ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বচ্ছতার প্রশ্নে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দেন।
এবং এই রায় মেনে নিয়েই রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কাজ আরম্ভ করে দেয়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যা শেষ করতে হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি, আন্দোলনকারী মেহবুব মন্ডল বলেন,’আমরা অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছিলাম । আমাদের কাছে খবর ছিল, আমাদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা না করেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার । তারা নোটিফিকেশনও তৈরি করে ফেলেছে। আমরা অবস্থান করছি, যাতে ওনারা সামগ্রিক বিষয়টা জানান । কারণ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কাহিনী শুনেছি।’
‘আমাদের বলা হয়েছিল, যখন রিভিউ পিটিশন করা হবে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে। অথচ আমাদের অন্ধকারে রেখে চুপি চুপি রিভিউ পিটিশন করেছে সরকার। আমাদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনাই করা হয়নি।’
চাকরিহারাদের প্রতিনিধি মেহবুব মন্ডল আরও বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেব না। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করতে দেব না । যতক্ষণ না কোনরকম সদর্থক উত্তর আসছে, বিকাশভবন ছাড়বো না।’
এদিনের আন্দোলন বানচাল করতে সব্যসাচী দত্ত তাঁদের ওপর হামলা চালান বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, সম্মিলিত চোর চোর স্লোগানে সব্যসাচী পালিয়ে যান ।