চাকরি ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাশ ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা । তাঁদের দাবি, তাঁরা যোগ্য । তাঁরা আর নতুন করে চাকরির পরীক্ষায় বসবেন না । স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে । এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আন্দোলন স্থলে এসে কোন সদর্থক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিকাশ ভবন ঘেরাও করে রাখবেন। বিকাশভবনের ভিতরে যাঁরা আটকে আছেন, তাঁদেরও বের হতে দেওয়া হবে না বলে, আন্দোলনকারীরা চাকরিহারা শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন।

 

এ নিয়ে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে । বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে, চাকরিহারা শিক্ষক আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন।

 

কিন্তু বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে পুলিশের গতিবিধি পাল্টাতে থাকে। রাত ৮ টা নাগাদ রাজ্য সরকারের পুলিশ আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষকদের সরিয়ে দিয়ে বিকাশভবনে আটকে থাকা আধিকারিকদের মুক্ত করতে তাঁদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। লাঠির আঘাতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন।

 

ঘটনাস্থলে যান আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ডাক্তার অনিকেত মাহাত এবং অন্যান্যরা। তাঁরা আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন । অনিকেত জানান, ‘পুলিশের লাঠির আঘাতে অনেকের মাথা ফেটেছে, অনেকের পা ভেঙেছে, গুরুতর আহত অনেকেই।’

 

চাকরিহারা শিক্ষক আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রশ্নে, বিধাননগর পুলিশের এক আধিকারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকাশভবনে আটকে থাকা অফিসারদের বাইরে বের করতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা ওঠেননি । তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চালিয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here