চাকরিহারা শিক্ষকদের চাকরি ফেরতের দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে কোন বাধা নেই। তবে কিছু শর্ত আরোপ করেছেন, কলকাতা হাইকোর্ট।
বিকাশভবনের সামনে নয়, সেন্ট্রাল পার্কে তাঁরা এই অবস্থান কর্মসূচি চালাতে পারবেন । কর্মসূচিতেই ২০০-র বেশি লোক রাখা যাবে না। বহিরাগত কেউ অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবেন না। বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ অবস্থান কর্মসূচি স্থলে আসতে চাইলে, আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে । অবস্থানকারীদের ১০ জনের ফোন নম্বর পুলিশকে দিয়ে রাখতে হবে ।
পুলিশও শিক্ষক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না । স্থানীয় প্রশাসনকে চাকরিহারা শিক্ষক আন্দোলনকারীদের জন্য পানীয় জল, টয়লেট, মাথার ওপর ছাউনির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আদালতে জানান, ‘আপনাদের কর্মসূচির জন্য আশেপাশের মানুষের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । আপনারা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করুন। আপনাদের আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
রাজ্য সরকারের আইনজীবী, তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের অবস্থান আন্দোলন বন্ধ করার জন্য আদালতে দাবি জানালে, চাকরিহারাদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে আদালত কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । পরে অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে যায় । এ নিয়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা চাকরি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
১৫ মে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । পুলিশের লাঠির আঘাতে চাকরিহারা শিক্ষক আন্দোলনকারীদের অনেকের মাথা ফাটে, পা ভাঙে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় চোখ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই।
আহতদের বিরুদ্ধে আবার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করে, থানায় হাজিরা দেওয়ার নোটিশ ধারায় পুলিশ ।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানালে, আদালত মামলা করার নির্দেশ দেন।