নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি আসলে, রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভাঁওতাবাজি বলে, উল্লেখ করলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা আনুষ্ঠানিকতা । এসব করে কোন লাভ হবে না । শুধুমাত্র চাকরিহারাদের বোকা বানাতে, তাদের বিক্ষোভ রুখতে, এই আবেদন করা হয়েছে। এটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয়।’
এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ করার অনুমতি দেয়া হোক। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরমধ্যেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিযুক্ত বলে পুরো প্যানেলটি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যোগ্য অযোগ্য নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখেন।
আদালতের এই রায় মেনে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে করে রাজ্য সরকার। তারপরেও রাজ্যের তরফে রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদনের মানে কি ?
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে, ৩১ মে-র মধ্যে ফের নোটিফিকেশন হবে। রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে হলফনামা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি, সরকারি টাকা নষ্ট ছাড়া কিছু নয়।’
৮ মে বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, চাকরি বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।