জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর সেখানে শান্তি ফিরে এসেছে বলে, বারবার দাবি করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে । পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা পরবর্তী উপত্যকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবির নেতৃত্বে সিপিআইএমের একটি প্রতিনিধিদল জম্মু কাশ্মীর যাচ্ছে।
শুক্রবার দিল্লির একে গোপালন ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমএ বেবি জানান, প্রতিনিধিদলে থাকবেন, লোকসভার সাংসদ অমরা রাম, কে রাধা কৃষ্ণাণ, এসইউ ভেঙ্কটেশ এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, জন ব্রিটাস , এ এ রহিম । জুনের ১০-১১ তারিখ তাঁরা জম্মু কাশ্মীর যাচ্ছেন।
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি এদিন বলেন, ‘৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরে এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার দাবি করলেও বাস্তব দেখা যাচ্ছে । আমরা বলছি, মানুষের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে । নিরাপত্তা বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয় না। রাজ্যপালকে ডাকা হয়। প্রশ্ন হল, সেখানে নির্বাচিত সরকারের কী কোন গুরুত্ব নেই।’
বেবি আরও বলেন, ‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা পরবর্তী দুটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু তার একটিতেও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। তিনি অন্য রাজ্যে গিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। বিজেপি, এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । দেশের প্রধানমন্ত্রী নয়, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক ঘন্টা সময় দিতে পারেন না, বিরোধীদের সঙ্গে বসার। আর ঘুরে ঘুরে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন।’
‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা শোনা যাচ্ছে । সোফিয়া কুরেশিকে অপমান করা হয়েছে। বিজেপি মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। বাংলাভাষী মুসলিমদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অনুপ্রবেশকারী। দেশের এমন অনেক নাগরিককে অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে । আর গোটা দেশে আরএসএস ঘৃণা ছড়াচ্ছে।’
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অপারেশন সিঁদুর এবং যুদ্ধ বিরতি নিয়ে সংসদে ব্যাখ্যা দিতে হবে। দেশের মানুষকে সব জানাতে হবে।’