ভারতীয় বাহিনীর সফল অপারেশনের পর বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনী তাঁদের লক্ষ্যে সব দিক থেকে সফল। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় হবে সর্বদলীয় বৈঠক।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু পরবর্তী পুরো বিষয় সম্পর্কে অবগত করেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার ভোরে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় বাহিনীর হামলায় কুখ্যাত জঙ্গি আজহার মাসুদের পরিবারের ১২ জন মারা গেছে বলে খবর। ভারতীয় সেনার হামলার কথা স্বীকার করেছে পাক বাহিনীও।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে পাক সেনা সীমান্তে গুলি চালাতে শুরু করে । পাক সেনার গুলিতে ভারতের নিরপরাধ ১০ জনের মৃত্যু হয়।

সূত্রের খবর, এই অপারেশনের নাম সিঁদুর দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন স্বয়ং প্রধনমন্ত্রী। কেন অপারেশন সিঁদুর তার ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা ধর্ম পরিচয় জেনে খুন করে বলে জানা গেছে। ওই হামলায় বহু সদ্য বিবাহিত ভারতীয় নারী স্বামী হারা হয়েছেন। ভারতীয় নারীর বিবাহের প্রতীক হল সিঁদুর। জঙ্গি হামলায় সেই সিঁদুর মুছে যায়। তাই সেই হামলার জবাব দেওয়ার জন্য এই নামই ঠিক করা হয়।

কোনও পাক সামরিক আস্তানা নয়। ভারতীয় বাহিনীর জবাবি হামলার লক্ষ্য ছিল শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি। ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

সেনা সূত্রে খবর, ১৯৭১ এর পর এই প্রথম ভারতের তিন বাহিনী একযোগে কোনও হামলা চালাল।
অপারেশন শুরু হয় রাত ১টা ৪৪ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী নিজে রাত জেগে এই অপরেশনের ওপর নজর রাখেন। ভারতীয় বাহিনীর নিশানা ছিল, এমন সব ঘাঁটি যেখান থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জইশ- ই –মহম্মদ এবং লস্কর- ই তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের একাধিক ঘাঁটি মাটিতে মিশে যায়।

ভারতের এই পালটা আক্রমণে সচকিত পাকিস্থান । কিন্তু দেশের মানুষের সামনে মোদি সরকার তুলে ধরল অন্য ছবি। যেখানে মিশে রইল ধর্ম আর আবেগ। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা ধর্ম জেনে খুন করেছিল। ভারতের জবাবি হামলার পর সেই ধর্মের এক মেল বন্ধনের ছবি তুলে ধরল দেশের সামনে।

এদিন সেনা বাহিনীর তরফে দুই মহিলা আধিকারিক সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন। তাঁদের একজন সোফিয়া কুরেশি এবং একজন ব্যোমিকা সিং। একদিকে মহিলা শক্তির উত্থান অন্যদিকে ধর্মীয় মেল বন্ধন এই দুই ছিল এদিনের সামরিক বাহিনীর মূল লক্ষ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here