ন্যায়বিচার দিন, অথবা পরিবার নিয়ে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিন।’ এই আবেদন জানিয়ে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘আমি দোষী / কলঙ্কিত প্রমাণিত না হওয়ায়- এই শাস্তি থেকে আমায় অব্যাহতি দেওয়া হোক। অথবা আমার পরিবারের সঙ্গে স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য আমাকে সরকারিভাবে অনুমতি দেওয়া হোক। অথবা আমাদের ন্যায্য জীবিকা থেকে বঞ্চিত করার রায়কে, পুনর্বিবেচনার জন্য একটি নির্দেশ জারি করা হোক।’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেয়। এর ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়। শীর্ষ আদালত ওই পদে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দেন । যোগ্য শিক্ষকরা চাকরি হারিয়ে পথে বসেন । তাঁদের সামাজিক মর্যাদা প্রশ্ন মুখে পড়ে। তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে এসব কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের প্রতিনিধি হাবিবুল্লাহ জানান , ‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের বার্তা, চিঠি ও ই-মেইল মারফত পাঠিয়েছি । এর পাশাপাশি তিনশোর বেশি সাংসদকে আমরা ই-মেইল করেছি। যাতে তাঁরা আগামী অধিবেশনে বিষয়টা সংসদে তুলে ধরেন । তাছাড়া আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি।’
যোগ্য চাকরিহারাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যেমন এই চিঠি রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো হয়েছে, তেমনি বহু চিঠি, ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো হয়েছে ।