পুঞ্চে পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করলেন, কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
শনিবার, জম্মু বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে পুঞ্চ পৌঁছন রাহুল। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাক গোলা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গুরুদ্বার, একটি মন্দির, একটি খ্রিস্টান মিশনারী স্কুল ও একটি মাদ্রাসা ঘুরে দেখেন রাহুল।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘আজ আমি পুঞ্চে পাকিস্তানের গোলাগুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি । ভাঙা ঘরবাড়ি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র এবং ভেজা চোখ, প্রতিটি কোণে প্রিয়জন হারানোর বেদনাদায়ক গল্প-এই দেশপ্রেমিক পরিবারগুলো প্রতিবার সাহস ও মর্যাদার সঙ্গে যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বোঝা বহন করে। তাদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই। আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি- আমি অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে তাদের দাবি এবং বিষয়গুলো উত্থাপন করব।’
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আজ আবার পুঞ্চ পরিদর্শনে গেলেন তিনি। ৭ মে অপারেশন সিঁদুর পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান ব্যাপক গোলাগুলি বর্ষণ করে । বহু স্কুল, বাড়ি ও অন্যান্য নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । প্রাণ হারান ১৩ জন সাধারণ মানুষ।
জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী এবং গভর্নর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি একবারও ওই এলাকা পরিদর্শনের যাননি। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে দুবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি একবারও সেখানে উপস্থিত থাকেননি। এই ইস্যুতে বিরোধীরা সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন জানালেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে কোন সাড়া মেলেনি।