আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।

সেজন্য, তাঁদের পোস্টিং বদল করে দেওয়া হয়েছে বলে, জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশীষ হালদারের পর একই অভিযোগ তুললেন, অনিকেত মাহাত ও আসফাকুল্লা নাইয়া।

 

পিজিটি হিসেবে কাজ করছিলেন অনিকেত ও আসফাকূল্লা। এবার সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য তাঁদের কাউন্সেলিং হয়। অনিকেতের পোস্টিং হয় আরজিকর মেডিকেল কলেজে এবং আসফাকুল্লা পোস্টিং পায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজে। কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়- তাদের নামের পাশে হাসপাতালের নাম বদলে গিয়েছে ।অনিকেতের পোস্টিং হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে এবং আশফাকুল্লার পোস্টিং হয়েছে পুরুলিয়ায় ।

 

অনিকেত, আসফাকুল্লার অভিযোগ তালিকায় ৮৭১ জনে নাম ছিল। শুধু তাঁদের দুজনের ক্ষেত্রে এই বদল ঘটেছে। গতকাল জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশীষ হালদারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে । তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালের পরিবর্তে মালদার গাজলে পাঠানো হয়েছে।

 

জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, ‘এটা ভুলের ঘটনা নয়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজ্য সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ঘটনা । এভাবেই পরিস্থিতিকে জটিল করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

 

এই বদলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-বিক্ষোভে সংহতি জানিয়েছে অভয়া মঞ্চ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here