প্রতিহিংসামূলক অনৈতিক পোস্টিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন । পাশাপাশি চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের কর্তব্য পালন করতে কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন, আরজিকর কান্ডের অন্যতম প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশীষ হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়া। অন্যদিকে অনিকেত মাহাত স্বাস্থ্য দপ্তরের এই প্রতিহিংসামূলক পোস্টিংকে চ্যালেঞ্জ করে কাজে যোগ দেবেন না। বেতনও নেবেন না।। আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

শুক্রবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে একটি বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

 

আরজিকর কাণ্ডের এই তিন প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসককে শাস্তি মূলক পোস্টিং দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । অন্যথায় ১৬০০ জনের মধ্যে বেছে বেছে এই তিনজনের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এই প্রতিহিংসা মূলক এই পোস্টিংয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা।

 

অনিকেতদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র রেসিডেন্ট পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিংয়ে কে কোথায় যেতে চায়, জানতে চাওয়া হয়। মেধাতালিকায় থাকা চিকিৎসকরা পছন্দের জায়গা বেছে নিতে পারেন। কিন্তু প্রকাশিত মেধাতালিকায় অনিকেত, দেবাশীষ, আসফাকুল্লার পছন্দের পোস্টিং বদলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

 

এদিন দেবাশীষ হালদার বলেন, ‘একটা প্রচার চলছে, আমরা নাকি গ্রামে যেতে চাই না । গ্রামের মানুষের চিকিৎসা নাকি আমরা করতে চাই না। প্রতিহিংসামূলক পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, সেখানকার মানুষ তো কোন দোষ করেননি । সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, তাই আমি আর আসফাকুল্লা ঠিক করেছি, পোস্টিং অনুযায়ী কাজের যোগ দেবো। সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here