বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি মিউজিয়ামের গেট ভেঙে ঢুকে, একদল ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কর্মচারীদের মারধর করে। এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কাছারি বাড়ির গেটে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
কাছারি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জানান, ‘ঈদের ছুটিতে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা পরবর্তী অডিটরিয়াম ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য কাছারি বাড়ির মিউজিয়াম বন্ধ থাকবে। পুরো বিষয়টি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নজরে রয়েছে।’

৮ জুন, এক দর্শনার্থীর বাইকের পার্কিং ফি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়ির গেটে কর্মরত এক কর্মচারীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির কথা কাটাকাটি থেকে ঘটনা বড় আকার ধারণ করে। ওই দর্শনার্থীকে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়, উত্তেজনা তৈরি হয়।
১০ জুন স্থানীয়রা মিছিল করেন, মানববন্ধন করেন । এরপর উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়ি মিউজিয়ামের গেট ভেঙে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। কর্মীদের মারধর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসে সেনাবাহিনীর একটি দল । আসেন, শাহজাদপুরের সহকারি কমিশনার মুশফিকুর রহমান।
শাহজাদপুর থানার ওসি মহম্মদ আসলাম জানান, কাছারি বাড়িতে হামলা ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে । ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে ।’
তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বর্ণযুগের ঐতিহ্য । সেখানে ভাঙচুরের ঘটনায় ঐতিহাসিক বহু নিদর্শন, নথি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞরা।