বাস মালিকদের সংগঠনগুলো বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন যে বাস ধর্মঘট ডেকে ছিল, আপাতত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে বাস মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে ।
বুধবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহন ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রশাসনের তরফে দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস মেলায় আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনের সিন্ডিকেট।
বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবি নিয়ে পরিবহন কর্তাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করে কোন ফল মেলেনি । তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে, বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ২০ মে-র মধ্যে কোন সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে ২২, ২৩, ২৪ মে টানা তিন দিন তাঁরা বাস ধর্মঘট করবেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুদিন পরিবহন দপ্তরের সচিব সৌমিত্র মোহন বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন । ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবারের বৈঠকে পুলিশের প্রতিনিধিরাও ছিলেন । কিন্তু বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র মেলেনি।
ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বাস ধর্মঘট হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটরস কো অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য বাস মালিক সংগঠনের সিন্ডিকেট।
বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে বৈঠকে বলা হয়, পুলিশের জুলুম কিছুতেই কমছে না। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, আট বছর ধরে ভাড়া না বাড়ানোর সমস্যা, জায়গায় জায়গায় লাগামছাড়া টোল ট্যাক্স, ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসগুলো বাতিল করে দেওয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া, এই সমস্ত বিষয় তাদের একেবারে জলে ফেলে দিয়েছে। সরকার ব্যবস্থা না নিলে ধর্মঘট করা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই।
কিন্তু বুধবারের বৈঠকে প্রশাসনের তরফে মালিকদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস মেলায় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাস ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনের সিন্ডিকেট।