জাপানের মহামূল্যবান মিয়াজাকি আম বাংলার মাটিতে বিচ্ছিন্নভাবে চাষ হলেও এবার ব্যাপকভাবে চাষে চাষিদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে, নদিয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী মরশুম থেকে মিয়াজাকি আম গাছের চারা চাষিদের সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিকেভি।

 

বৃহস্পতিবার, বিসিকেভির ফল বৈচিত্র মেলার প্রদর্শনীতে মিয়াজাকি আম রাখা হয়েছিল। জাপান থেকে আনা আসল মিয়াজাকি আম গাছের চারা বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারে লাগিয়ে তৈরি গাছের ফল।

মিয়াজাকি আম

জাপানের মিয়াজাকি প্রদেশের আম বিশ্বের দামি আম গুলোর মধ্যে অন্যতম । জাপানে এই আম তাইয়ো নো তামাগো নামে পরিচিত । যার বাংলা অর্থ সূর্যের ডিম। বেগুনি মেশানো লাল রংয়ের সুন্দর দেখতে মিয়াজাকি আমের যেমন সুগন্ধ তেমন মিষ্টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সমৃদ্ধ মিয়াজাকি আম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টরেল কমায়, ত্বকের জন্যও উপকারী। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মিয়াজাকি আম।

 

বিশ্ববাজারে দুটো বড় সাইজের আসল মিয়াজাকি আমের দাম দু লক্ষ টাকার ওপরে হতে পারে। ফলন অত্যন্ত কম বলে দাম এত বেশি। অনলাইনে এক কেজি আম দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাছের চারা পাঁচশো থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে । কিন্তু সেগুলো আসল কিনা তা যাচাই করার উপায় নেই।

 

তবে বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ের কৃষি গবেষকরা জানাচ্ছেন, জাপানের মিয়াজাকি প্রদেশের মাটি, পরিবেশ এখানে পাওয়া সম্ভব নয়, একই জাতের গাছ হলে, স্বাদ কাছাকাছি হবে।

 

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফটিক কুমার বাউরি বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ নার্সারির মতো চারা গাছ বেচে দিয়ে দায় এড়াতে পারি না। ভালোভাবে পরীক্ষা করে জাপানের মিয়াজাকি আম গাছের চারা চাষিদের হাতে তুলে দেয়াহবে।’

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here