চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, মোদি সরকার দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যুদ্ধের কুয়াশা এখন কেটে যাচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পেতে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা জরুরি বলে ফের একবার জোরালো দাবি করেন তিনি।
শনিবার, সিঙ্গাপুরে সাংগ্রিলা বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে ব্লুমবার্ক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, অপারেশন সিঁন্দুর চলাকালীন ভারতের ৬ টি যুদ্ধবিমান নামানোর পাকিস্তানের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন,’আমরা এটি তৈরি করেছি, এটি সংশোধন করেছি এবং তারপর এটি আবার বাস্তবায়ন করেছি, আমাদের সমস্ত জেট আবার উড়িয়েছি, দীর্ঘ পরিসরে লক্ষ্যবস্তু করে।’
সামরিক প্রধানের এই মন্তব্যের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লেখেন, ‘আমরা তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই। তবে একটি ব্যাপক কৌশলগত পর্যালোচনা এখন সময়ের দাবি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দ্বারা আমাদের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির বিস্তৃত পর্যালোচনা দাবি করছে।’

খাড়গে আরও লেখেন, ‘ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুদ্ধ বিরতির মধ্যস্থতা করার দাবি করেছেন । এটি সিমলা চুক্তির সরাসরি অবমাননা। ট্রাম্পের বারবার মধ্যস্থতার দাবি এবং মার্কিন বাণিজ্য সচিবের মার্কিন আদালতে দাখিল করা হলফনামার ব্যাখ্যা দেওয়ার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদি নির্বাচনী প্রচারে মেতে উঠেছেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের জন্য ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নিচ্ছেন। তাঁদের সাহসিকতার আড়ালে লুকিয়ে আছেন এবং সিজফায়ারের রূপরেখা এড়িয়ে যাচ্ছেন। যা ট্রাম্পের টুইটের পর ১০ তারিখ পররাষ্ট্র সচিব ঘোষণা করেছিলেন । সিজফায়ারের শর্ত গুলো কি কি ? ১৪০ কোটি দেশপ্রেমিক ভারতীয়র এটা জানা উচিত।’
লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধীদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি এড়িয়ে গেলেও পহেলগাঁও পরবর্তী ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বোঝাতে, বিশ্বের দরবারে সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই সামরিক প্রধানের মন্তব্য সামনে আসতে আবারও সংসদে বিশেষ অধিবেশনের জন্য অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে জোরালো সওয়াল করেছে কংগ্রেসও।