বিজেপি এবং আরএসএস রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইসলামোফোবিয়ার বীজ ছড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদে । মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না । হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের বাড়িঘর দোকানপাটে হামলা চালানো হয়েছে বলে পাঁচটি নাগরিক অধিকার সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে এই দাবী করা হয়েছে ।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিএসএফের অভিযান কেবল মুসলমান গ্রামগুলো লক্ষ্য করে এবং পুলিশের নৃশংসতা মুসলিম গ্রামগুলোতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।
আইনশৃঙ্খলার স্পষ্ট ব্যর্থতা ছিল । পুলিশ প্রশাসন চাইলে এটি রোধ করতে পারত । তাদের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার ফলে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে । সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার অভিযোগে মোট ৩০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
ফেমিনিস্ট ইন রেজিস্ট্যান্স, অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস, নারী চেতনা, কমিটি ফর দি রিলিজ অফ পলিটিকাল প্রিজনার্স এবং গণ সংগ্রাম মঞ্চ মুর্শিদাবাদ এই ৫টি সংস্থার ১৭ জন সদস্য তথ্য অনুসন্ধান দলে ছিলেন। নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতির তথ্য অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় মেরুকরণ তীব্রতর করার ক্ষেত্রে ভুল তথ্য এবং গুজবের বড় ভূমিকা রয়েছে । উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে । দাঙ্গায় তিন জনের মৃত্যু হয় ।