ওয়াকফ্ বিরোধী আন্দোলনে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের হিংসাকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলেই মনে করেন, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্টে, প্রয়োজনে, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন তিনি। রাজ্যপালের এই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে, তীব্র সমালোচনা করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস।

 

 

 

 

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, ‘যদি এইভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রের উচিত সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। এইভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথা ভাবতে হবে।’

 

এবিষয়ে রাজ্যপালের সুপারিশ, মালদা এবং মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় স্থায়ী ভাবে বিএসএফের ক্যাম্প বসানো হোক। এই এলাকায় বিএসএফের নজরদারি আরও বেশকিছু দিন থাকা দরকার।

দুই জেলায় সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। স্থানীয় মানুষের মনের আতংক এখনও কাটেনি। পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমানা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনার কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, সি ভি আনন্দ বোস।

 

 

অন্যদিকে রাজ্যপালের এই রিপোর্টকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ। পলিটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্টজনিত কারণে নেওয়া হয়েছে।’

 

কুনাল আরও বলেন, ‘রাজ্যপালের রিপোর্টে বলা উচিত ছিল, বিএসএফকে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি তা না করে, কেন্দ্রকে খুশি করার জন্য এবং বাংলাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here