নিয়ম বহির্ভূতভাবে বা ওএমআরশিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকদের মতো তাঁদেরও চাকরিতে বহাল রাখা হোক এবং নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় তাঁদের বসতে দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

 

৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাঁর রায়ে বলেছিলেন, ‘যাদের ওএমআরশিটে কারচুপি আছে, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।’

 

তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে কেবলমাত্র টেইন্টেড নয়, এমন শিক্ষকদের সবেতন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়ে, এই সময়ের মধ্যে নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের কোন পরিবর্তন হলো না এদিনও।

 

আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত করে জানিয়েছিল, মোট ৪ হাজার ৯১ জন ওএমআরশিটে কারচুবি করে চাকরি পেয়েছেন । সুপ্রিম কোর্ট তাদের চাকরি বাতিল করে। তাদের মধ্যে ১১৯ জন আবেদন করেছিল । সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’

 

এখন কারা টেইন্টেড আর কারা আনটেন্টেড তা সিবিআইয়ের আদালতে জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও গভীর এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা রাজ্য সরকার কেন টেইন্টেড , আনটেইন্টেড তালিকা আদালতে জমা দিল না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here