শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে করে তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। যাঁরা উত্তর দিতে পারতেন- মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত থাকলে তাঁরা সন্তুষ্ট হতেন। এভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, চাকরি হারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা।

 

‘আমরা চেয়েছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কিন্তু সেটাই হয়নি । এই বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি । কারণ শিক্ষা সচিব আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। যাঁরা দিতে পারবেন তাদের সাক্ষাৎ চাইছি।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব বিনোদ কুমার ও সচিব শুভ্র চক্রবর্তী সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন, চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ৬ জনের একটি প্রতিনিধিদল। টানা দু’ঘণ্টা বৈঠক শেষে তাঁরা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষক কর্মীদের প্রতিনিধিরা তাঁদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে, আন্দোলনকে এবার দিল্লিমুখী করার কথা ঘোষণা করেন।

আন্দোলনে চাকরি হারা শিক্ষকরা

তাঁরা বলেন, ‘এরপর আন্দোলনের অভিমুখ দিল্লি মুখী হবে । বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না । আজকের এই ঘটনার জন্য আধিকারিকদের দুর্নীতি দায়ী। আদালত ও আমাদের দিকটা দেখেনি । আমাদের সঙ্গে ন্যায় হয়নি।’

 

দুর্নীতির দায়ে বাতিল হয়ে যায় ২০১৬ সালের স্কুল শিক্ষা কমিশনের গোটা প্যানেল । চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। রাজ্য সরকার তরফে আদালতে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ৩১ মে-র মধ্যে নতুন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। কিন্তু চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা নতুন করে আর চাকরির পরীক্ষায় বসতে রাজি নয়। নিয়োগের নোটিফিকেশন না দিয়ে চাকরি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার ।

 

বিকাশ ভবনের তরফে অবশ্য তাঁদের জানানো হয়েছে, আদালতের ওপরে কেউ যেতে পারে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here