পহেলগাঁও হামলায় তাঁর স্বামীকে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে খুন করেছিল জঙ্গিরা। নৌসেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশীর স্বামীর দেহের পাশে নির্বাক শূন্য দৃষ্টিতে বসে থাকার সেই মর্মান্তিক দৃশ্য, দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল।
হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও কাশ্মীর বয়কটের আওয়াজ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি হিমাংশী শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে আবেদন করেন, ‘মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না।’
হিমাংশীর এই আবেদনে নেটিজেনদের একাংশ বিশেষ করে হিন্দুত্ববাদীরা সমাজ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করে। হিমাংশীর অতীত নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে ।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে হিমাংশীর পাশে দাঁড়িয়েছে, জাতীয় মহিলা কমিশন । একটি বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন জানায়, ‘ব্যক্তিগত মত প্রকাশের জন্য একজন মহিলাকে এইভাবে আক্রমণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও কাশ্মিরীদের হেনস্তা করার জন্য হিমাংশীর বক্তব্য ছিল, ‘ আমার স্বামী হামলার শিকার হয়েছেন, এটা আমার পরিবার ও গোটা দেশবাসীর কাছে দুঃখজনক । তবে দয়া করে এই হামলার জন্য পুরো মুসলিম সমাজ ও কাশ্মীরি জনগণকে দায়ী করবেন না । আমরা শান্তি ও ন্যায়বিচার চাই । দোষীরা যেন শাস্তি পায়।’
আর এই বক্তব্যের জন্য হিমাংশী সমাজ মাধ্যমে নির্মমভাবে ট্রোলিংয়ের শিকার হন।